সাল ১৯৬৩, পাগলা ঘোড়ার মতো উচ্ছ্বাস যৌবনোচ্ছল একদল তরুণ তুর্কির অফুরন্ত উদ্যম আর উৎসাহে গড়ে উঠলো এক প্রতিষ্ঠান - "পাগলা ফৌজ"। গড়গড়িয়ে রথের চাকার মতো চললো এই সংঘের উদ্দীপনা মাখা কর্মকান্ড। তারা সরস্বতী দেবীর বন্দনায় ব্রতী হলো। তারপর এলো সেই অস্থিরতা ও দুঃস্বপ্নের দিন। কাটাকাটি হানাহানির সময়। চারিদিক জুড়ে শুধুই আতঙ্ক। কলেজে কলেজে পাওয়া যাচ্ছে পড়ুয়ার লাশ। একসময় সব স্বাভাবিক হলো। তরুনদল তখন পরিণতমনষ্ক। চিন্তাভাবনায় এলো বদল। সংঘও তখন আরও পরিচিতি ও বিস্তারলাভ করেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো দুর্গাপূজার। সেই সূচনা হলো দুর্গা পূজার। গতবছর ২০২১ এ চল্লিশ বছর অতিক্রম হলো দেবী দুর্গার আরাধনায়। ২০১৫ সাল থেকে শুরু থিমপুজো। শিল্পী শ্রী অসীম পাঁজার তত্ত্বাবধানে ও নিপুণ চিন্তা ভাবনায় শুরু। সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই পুজো এবং পুরস্ককার প্রাপ্তিও ঘটে। ২০১৯ এ শিল্পীর সুচারু চিন্তা ভাবনার ফসল - প্রকৃতির অমূল্য প্রাণী ব্যাঙ নিয়ে অনন্য সাধারণ শৈল্পিক প্রকাশ দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে দেয়। গত দু বছর অতিমারীর (কোভিড ১৯) সময়কালে সংঘের সদস্যদের অকুন্ঠ ও নির্ভিক জনসেবা বিশেষ কৃতিত্বের দাবী রাখে। এছাড়া সম্পাদক শ্রী সৌমেন রায়ের দক্ষ ও কর্মঠ নেতৃত্বে বিভিন্ন সমাজ সচেতনমূলক কাজকর্ম অব্যহত। সদস্যদের ঐকান্তিক এবং নিয়মনিষ্ঠ সহযোগিতায় রমরমিয়ে চলছে পাগলা ফৌজ। এ রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অকৃপণ কৃপালাভে কৃতজ্ঞধন্য এই প্রতিষ্ঠান। সভাপতি- শ্রী শৈলেন ঘোষ (৯৪৩৪৭৯৭১৯০), সম্পাদক- শ্রী সৌমেন রায় (৯৪৩৩৮৪৪৮৬৩), কোষাধ্যক্ষ- শ্রী কৌশিক মুখার্জী (৯১৪৩২১৬৪৩৯)