বেলজিয়াম কাঁচের ভাঙা ঝাড়বাতিতে অতীতের ঝলক। খিলানে তোরণে সময়ের ছোপ। বাঁকুড়ার মালিয়াড়ার রাজবাড়ি জৌলুস হারিয়েছে। সময়ের নিয়মেই। তবু প্রতি শরতে নাটমন্দিরে শোনা যায় ঘণ্টাধ্বনি। সন্ধ্যারতির আবছা আলোয় জেগে ওঠে পাঁচশো বছরের ইতিহাস। আজো সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই দুর্গাপুজো হয় মালিয়াড়া রাজবাড়িতে। দিল্লির মসনদে তখন মোঘল সম্রাট আকবর। তাঁর কাছ থেকে জায়গীর পান কাম্বকুব্জ ব্রাক্ষ্মণ দেওধর চন্দ্রধুর্য বা দেওঘর চন্দ্রধুরিয়া। উত্তর প্রদেশের কনৌজ থেকে বাংলায় এসে দামোদরের দক্ষিণে স্থাপন করে রাজত্ব। সেখানে তখন ঘন বন। বন্যপ্রাণী আর ডাকাতদের হারিয়ে নিজের অধিকার কায়েম করেন দেওধর। রাজত্ব করতে বেছে নেন বাঁকুড়ার মালিয়াড়া গ্রামকে। উত্তর দামোদর থেকে দক্ষিণের শালী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত সেই রাজত্ব। আদায় করা রাজস্বে উপচে পড়ত রাজকোষ। শুরুতে ছিল তিনদিনের পুজো। তারপর রাজত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু।