এলাকার মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয় এই ক্লাব। মৃৎশিল্পী পাঁচু পালের হাতে গড়া দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে ১৯৮৬ সালে এক ঘরোয়া সাবেকি পুজোর মাধ্যমে শুরু হয় এই দুর্গোৎসব। এরপর ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রখ্যাত ভাস্কর শ্রী প্রফুল্ল পালের মাটির অলঙ্করণে সজ্জিত দুর্গামূর্তি, নহবত সহযোগে দেবীর অর্চনা, বস্ত্র বিতরণ, ভোগ বিতরণ, শঙ্খধ্বনি প্রতিযোগিতা ও ধুনুচি নাচের মাধ্যমে মাতৃ আরাধনা সেই সময়ে অনেক সংগঠনের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। দীর্ঘদিন সাবেকি পুজোর আয়োজন করার পর ২০০৫ সাল, অর্থাৎ এই পুজোর রজতজয়ন্তী বর্ষে শুরু হয় থিমপুজো। তবে প্রবল আর্থিক সমস্যা হওয়ায় কোনও পেশাদার শিল্পী ছাড়াই নিজেদের প্রচেষ্টায় মণ্ডপের পরিকল্পনা ও রূপদান শুরু হয়। এখনও সেভাবেই আয়োজিত হয় এই পুজো। ২০১০ থেকে ’১৩ সাল পর্যন্ত ‘সোনিক দুর্গা প্রতিমা’ ও আরও ৭৫টি শারদ সম্মানে ভূষিত হয়েছে এই পুজো। ২০১৪ সালে সেরা দুর্গাপ্রতিমার পুরস্কার হিসেবে ‘এশিয়ান পেন্টস্ শারদ সম্মান’ অর্জন করেছে এই পুজো। এছাড়াও ২০১৪-’১৬ সালে আরও ৩০টি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাবের পুজো।