বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার অন্তর্গত এই ধানশিমলা গ্রাম। এখানকার পুজো অন্যরকম। কোনও মূর্তি নয়, পুজো হয় ঘটে পটে। ধানশিমলা গ্রামের প্রথম বাসিন্দা রায়রা। তাঁরাই এখানে নারায়ণ পুজো শুরু করেন। তাই গ্রামে কেউ নারায়ণ পুজো করলে সম্মান জানাতে প্রথম মোকামা আসে রায় বাড়িতে, এখনও। রায়দের আদি বাড়ি বর্ধমান জেলার কেশবপুর গ্রামে। সেখান থেকে ধানশিমলায় আসে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে। কেশবপুরে রায়দের কষ্টি পাথরের মূর্তি (মা শঙ্করী) আছে। এখানে রায়রা আর নতুন করে মূর্তি পুজো করে না। ঘটে পটে পুজো শুরু করে। সেই রীতি মেনে এখনও এখানে একইভাবে পুজো হয়ে আসছে। ষষ্ঠীর দিন বাঁধাদামোদর মন্দির থেকে শালগ্রাম শিলা নিয়ে আসা হয় রায়দের দুর্গা মন্ডপে। আগে বর্গীদের দিয়ে যাওয়া খড়গ দিয়ে আখ, কুমড়ো ও ছাগল বলি হত। ২০১৭ থেকে নতুন খড়গ দিয়ে বলি হয়। ষষ্ঠীর দিন বেল তলায় পুজো হওয়ার পর সপ্তমী থেকে নবমী রোজই আখ কুমড়ো বলি হয়। পাঁঠা বলি হয় শুধুমাত্র অষ্টমী পুজোর দিন, সন্ধি পুজোর পর। আগে পট আসত বাইরে থেকে। এখন রায়রা নিজেরাই পট তৈরি করে নেন। যোগাযোগ- দেবব্রত রায়- ৬২৯৪৮ ২৯৯০৬