Digital Durga
Digital Durga

সংরক্ষণ

চূড়ামন রাজবাড়ী উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ

পুজোর ইতিহাস

যুগ যুগ ধরে পীরের দরগার ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় পুজো৷ দশমীতে ধ্বজা উড়িয়ে বিজয়া পালন হয়ে আসছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের চূড়ামন রাজবাড়িতে। ষোড়শ শতকে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রাজা জগৎ বল্লভ রায়চৌধুরি। সেই থেকেই জাঁকজমকের সঙ্গে যাবতীয় রীতি নীতি মেনে পুজোয় মেতে উঠে গ্রামের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলেই। কালের নিয়মে সেই জৌলুসে ভাঁটা পড়েছে। চূড়ামন রাজবাড়ি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত। মন্দির ও ঠাকুরদালান চলে গেছে মরাসুঁই নদীর গর্ভে। তবে পুজো বন্ধ করেনি রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্ম। গ্রামবাসীদের সাহায্যে নতুন মন্দির গড়ে মায়ের পুজো হচ্ছে। রাজবাড়ীর নিয়ম অনুযায়ী দশমীর দিন মন্দির প্রাঙ্গণে বসে মেলা। যার সূচনা হয় পীরবাবার দরগায় ধ্বজা উড়িয়ে। ধ্বজা ওড়ান কোন মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ। আজ রাজার রাজপাট না থাকলেও এখনও দশমীর দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ছবি দেখা যায় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের চূড়ামন রাজবাড়িতে। রাজবাড়ির শিবমন্দিরের পাশাপাশি পীরের দরগাও পুজোর সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত রাজ পরিবারের দশম পুরুষ কৌশিক রায়চৌধুরি বর্তমানে পুজোর দেখভাল করেন। রাজ বাড়ির সদস্যরা জানান, এই পুজো অত্যন্ত প্রাচীন। এখনও পর্যন্ত নিয়ম মেনে পুজো চলে আসছে। এখন রাজার রাজকীয় রাজ্যপাট না থাকায় স্থানীয়দের সাহায্যেই হয় পুজো। এখনও পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন হিসেবে ধ্বজা ওড়ানো হয়। যা কোনও মুসলিম ভাইয়ের হাতেই ওড়ানো হয়। পুজোকে একই মর্যাদায় নিয়ম-নীতি মেনে পরিচালনা করা হয়।