Digital Durga
Digital Durga

সংরক্ষণ

বম্বে দুর্গাবাড়ি সমিতি মুম্বই, মহারাষ্ট্র (১৯৩০)

bombaydurgabari@hotmail.com

পুজোর ইতিহাস

মুম্বইয়ের প্রাচীনতম দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে এই পুজো অন্যতম। ১৯৩০ সালে শুরু হয় এটি। সেসময়ে ‘হিন্দুস্থান কনস্ট্রাকশন’-এর শিবচন্দ্র ব্যানার্জি ও ‘বেঙ্গল লজ’-এর শিবচন্দ্র চন্দ্র ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গ্র্যান্ড রোড রেলস্টেশনের কাছে স্লিটার রোডের হিন্দুস্থান কম্পাউন্ডে কলকাতার মতো জমাটি দুর্গাপুজোর আয়োজন করার ইচ্ছে জাগে তাদের মনে। খাস মুম্বইয়ের বুকে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের উদ্‌যাপনকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই উৎসাহী হয়ে পড়েন এবং জড়িয়ে যান এই পুজোর সঙ্গে। বারাণসী থেকে ট্রেনে করে সেবার দেবীমূর্তি এসেছিল মুম্বইতে। সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন বিচারপতি ক্ষিতীশচন্দ্র সেন। জগদীশচন্দ্র মৈত্র (স্বাধীনতা সংগ্রামী) ও বিহারীলাল দাস সহ-সভাপতির দায়িত্ব নেন। এরপর যতো দিন গেছে, ততোই বেড়েছে সদস্যসংখ্যা। ১৯৪০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সমিতি। ১৯৫৪ সাল ছিল এই পুজোর ২৫তম বর্ষ। সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক গৌরীনাথ শাস্ত্রী আমন্ত্রিত হয়ে সেবারের পুজো সম্পন্ন করার জন্য গিয়েছিলেন। ১১ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল সেবার। বৈজয়ন্তীমালা, বিসমিল্লা খান, সিতারা দেবী, ওস্তাদ আলি আকবর খান, রবিশঙ্কর, শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্রের মতো স্বনামধন্য শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ১৯৭৯ সালে এই পুজোর স্বর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদ্‌যাপিত হয়। ১৯৮৯-তে ছিল রৌপ্যজয়ন্তী বর্ষ। ২০০৪-এ ৭৫তম বর্ষ হিসেবে প্ল্যাটিনামজয়ন্তী। ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছে এই পুজো। কখনও স্লিটার রোড, কখনও এসভিপি রোড, আবার কখনও নরনারায়ণ মন্দির। এরপর আরও বড় জায়গা আজাদ ময়দানে স্থানান্তরিত হয় পুজো এবং তারপর ক্রস ময়দানে। ১৯৭১ সালে ‘আগস্ট ক্রান্তি মার্গ’-এর তেজপাল হলে থিতু হয় এই পুজো। ভাষা-ধর্ম নির্বিশেষে একাধিক সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ এখনও প্রতিবছর যোগ দেন এই পুজোয়। বর্তমানে এই পুজোর মুখ্য উদ্যোক্তা— সুস্মিতা মিত্র (সভাপতি), অবন্তিকা মল্লিক (সম্পাদক), দেবাশিস রায় (কোষাধ্যক্ষ)।

ম্যাপ