এটি বাঁকুড়ার প্রাচীন পুজো এবং বাড়ির পুজো। মল্লরাজাদের নির্ঘণ্ট এক ছাতার তলে নিয়ে এসেছে বেলিয়াতোড়ের প্রায় সব পুজোকে। ফলে সুবর্ণ বণিকদের পালবাড়ির ২০০ বছরের পুজো হয়ে উঠেছে ‘পোদ্দার পাড়ার পুজো’। সেই কবে শুরু হওয়া পুজো ব্রজমোহন, জগদীশ পালদের থেকে ক্রমশ পশুপতি, চিত্তরঞ্জন হয়ে এখন তিনটি পরিবারের দায়িত্বে। আগে পাতার ছাউনির মণ্ডপ হতো, যা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন ডেকোরেটরদের হাতে। তবে ঐতিহ্যকে মনে রেখে পুজোর আয়োজনে কোনও ঘাটতি হয় না আজও। অষ্টমীর দিন একাসনে পুজো হয়, হয় কুমড়ো-শসা বলি। পোদ্দার পাড়ার পুজোর মাহাত্ম্য তাই কমেনি। যাই হোক না কেন, বিষ্ণুপুর রায় বংশের রাজপরিবার থেকে আসা পুজোর নির্ঘণ্ট মেনেই সব আয়োজন করা হয়। এমনকি বিসর্জনেও দোলায় করে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা হয়। আর শুধু পোদ্দার পাড়াই নয়, এতে অংশ নেয় বেলিয়াতোড়ের প্রায় সব পুজো।