সাল ১৯৪২। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সেই উত্তাল সময়ে বেতড় বেলেপোল অঞ্চলের কয়েকজন যুবক সিদ্ধান্ত নিলেন মাতৃ আরাধনার। স্থাপিত হল এই দুর্গোৎসব সমিতি। দুর্গাপূজা সূচিত হল শতাব্দীপ্রাচীন রাজরাজেশ্বরী পূজার (বর্তমানে রক্ষাকালী পূজা) বেদীমণ্ডপে। জমিটি ছিল নিষ্কর, দেবত্র সম্পত্তি। তাই সহজেই অনুমতি পাওয়া গেল তৎকালীন ব্রিটিশ রাজত্বে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা ছিলেন নিতাই চন্দ্র নন্দী, হরিপ্রসাদ ব্যানার্জি, দ্বিজেন গাঙ্গুলি, সুরেন পোল্ল্যে প্রমুখ। রজত জয়ন্তী, সুবর্ণ জয়ন্তী, হীরক জয়ন্তী, প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী পেরিয়ে এই পুজো আজ ৮০ বছরের দোরগোড়ায়। সামাজিক দায়িত্বপালনে এই পুজো অঙ্গীকারবদ্ধ। রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান অনুষ্ঠান এ পুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ইতিমধ্যেই ‘বিশ্ববাংলা সম্মান’ সহ আরও বেশ কিছু পুরস্কারে এই পুজো সম্মানিত হয়েছে। আজকের তরুণ সদস্যদের হাত ধরে এই পুজো তার ঐতিহ্যের মশাল নিয়ে এগিয়ে চলেছে শতবর্ষ উদযাপনের পথে। বর্তমানে এই পুজোর মুখ্য উদ্যোক্তা — দেবাশিস ঘোষ (সভাপতি), শুভদীপ ঘোষ (সম্পাদক), চন্দন মুখার্জি (কোষাধ্যক্ষ)।