Digital Durga
Digital Durga

সংরক্ষণ

বলরামপুর হাটতলা সর্বজনীন দুর্গাপূজা পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ (১৯৯৮)

পুজোর ইতিহাস

পুরুলিয়া থেকে জামশেদপুর টাটা-গামী ৩২ নম্বার জাতীয় সড়কের ওপর বলরামপুর ব্লক এবং বলরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ছোট্ট শহর বলরামপুর। ১৯৯৮ সালে বলরামপুর হাটতলা সর্বজনীন দুর্গাপূজা সমিতি এই এলাকায় প্রথম চন্দননগরের আলোর রোশনাই দিয়ে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো শুরু করে। তারপর থেকে এই পুজো দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নেয়। পুজোর পাঁচদিন বলরামপুর থানা এলাকার বহু গ্রামের মানুষ ছাড়াও পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকেই বলরামপুরের পুজো দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তবে ছবিটা পাল্টে যায় ২০০৭ সাল থেকে। এলাকায় শুরু হয় বন পার্টি বা মাওবাদীদের উপদ্রব। সেসময়ে বাম জমানা। বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী মাওবাদীদের হাতে খুন হন। প্রায় প্রতিদিনই মাওবাদী হামলা লেগে থাকত এলাকায়। জঙ্গলমহলের বলরামপুর ব্লক তখন খবরের শিরোনামে। মাও অভ্যুত্থানের প্রভাব পড়ে এলাকার দুর্গাপুজোতেও, পুজোর ধুমধামেও ভাটা পড়ে। কারণ, সন্ধ্যে হলেই মাও-আতঙ্ক গ্রাস করত গোটা শহরকে। পরে ধীরে ধীরে সেই আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসে বলরামপুর। ২০১১ সালের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, সেই ’৯৮-এ শুরু হওয়া জৌলুসকে মনে করিয়ে দিয়ে ফের শুরু হয় এই পুজো। ইতিহাস বলছে, নব্বইয়ের দশক নাগাদ বলরামপুরে সাকুল্যে তিনটে পুজো হতো। একটি ষোলোআনা, একটি স্টেশনপাড়া আর একটি কালিতলা। কিন্তু পুজোর আনন্দ পালটে যায় ১৯৯৮ সাল থেকে। বলরামপুর হাটতলা পুজো কমিটি শুরুতেই চন্দননগরের আলো এনে জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পুজোর আনন্দের মাত্রাটাই পালটে দেয়। ২০২১ সালে ২৫ বছর পার করেছে এই পুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের আয়োজনে ছিল থিমের ছোঁয়া। ২৫ বছরে ২৫ লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছিল। সম্ভবত এটাই ছিল এলাকার সবচেয়ে বড়ো বাজেটের পুজো। বর্তমানে এই পুজোর মুখ্য উদ্যোক্তা— মুরলীধর সেন (সভাপতি), প্রশান্ত ব্যানার্জি (সম্পাদক), সঞ্জয় সেন (কোষাধ্যক্ষ)।