মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন পুজোগুলোর এটি একটি অন্যতম পুজো। প্রায় ৫০০ বছর ধরে হচ্ছে এই পুজো। জাগ্রত এই পুজো ঘিরে নানা কাহিনী, গল্প কথিত। মায়ের কাছে যে যা প্রার্থনা করেন, তা পূর্ণ হয় বলে স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস। মায়ের বিশাল মন্দির ৬৯ ফুট উঁচু। এই পুজোর প্রতিমা দর্শনের জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। স্থায়ী মন্দির ছাড়াও আলাদা মন্দির করা হয় পুজোর সময়ে। কখনও সেই মন্দির হয় পুরীর মন্দিরের আদলে, কখনও তা স্বর্ণ মন্দির, আবার কখনও চেন্নাই রামকৃষ্ণ মঠের আদলে। প্রতিমা হয় একচালার, তাতে থাকে হয় ডাকের সাজ বা বন কাপাশি সাজ। নবমীর রাতে আগত সমস্ত দর্শনার্থীর জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা থাকে। পুজোর সময়ে গোটা গ্রাম আলো দিয়ে সাজানো হয়। চন্দননগর থেকে আসা বিশেষ আলোকসজ্জায় সাজানো হয় পুজোপ্রাঙ্গণ। সব মিলিয়ে এক জমজমাট পরিবেশ থাকে এই পুজোকে ঘিরে। বর্তমানে এই পুজোর মুখ্য উদ্যোক্তা— রবীন্দ্রনাথ সাহা ও অভিজিৎ সান্যাল (যুগ্ম সভাপতি), অমল সাহা ও হিমসাগর পাল (যুগ্ম সম্পাদক)।